প্রতি বছর ভারত থেকে এক লক্ষাধিক মুসলমান ধর্মাবলম্বী সৌদি আরবে হজ করতে যান। তাদের সে খরচের একটি অংশ এতদিন ভারত সরকার ভর্তুকি হিসেবে দিত। তবে এবার সে ভর্তুকি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হজযাত্রীদের বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে হজ ভর্তুকি তুলে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত সরকার। এবার তাই খরচ বাঁচাতে জাহাজে করে হজে যাওয়ার সুযোগ নতুন করে চালু করা হচ্ছে।
ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি ঘোষণা করেছেন, জাহাজে করে হাজীদের পাঠানো নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে বোঝাপড়া হয়ে গেছে। এখন এই ব্যবস্থার খুঁটিনাটি নিয়ে দুপক্ষ আলাপ আলোচনা শুরু করবে।
ব্রিটিশ শাসনামল থেকে সরকারি উদ্যোগে মুম্বাই থেকে হাজীদের জন্য জাহাজ সার্ভিস চালু হয়। তবে মুম্বাই-জেদ্দা সেই সার্ভিস ১৯৯৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
ভারত থেকে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মুসলিম হজ করতে যান। তাদের সিংহভাগই বিমান টিকেটের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি পান। এই ভর্তুকি পায় মূলত সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। ৭০এর দশকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের সময় থেকে চালু হওয়া হজ ভর্তুকি নিয়ে ভারতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপত্তি-বিতর্ক বাড়ছে।
পাশাপাশি, কয়েক বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে ২০২২ সালের মধ্যে হজ ভর্তুকি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, হজে ভর্তুকি ইসলামের অনুশাসনের বিরোধী এবং এই ভর্তুকি বরঞ্চ মুসলিম নারীদের শিক্ষায় ব্যবহার করা অনেক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুসলিম নেতাই সুপ্রিম কোর্টের ঐ নির্দেশকে স্বাগত জানান।