ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর পবিত্র হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব। ১৯৭৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনের মুসলমানরা জর্ডান, লেবাননের অস্থায়ী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু রিয়াদ সেই সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে ইসরাইলি নাগরিকত্বে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সাধারণত সৌদি আরবসহ ১৬ আরব দেশে ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। ফলে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিয়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি হজ পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।

সৌদি আরব তার দেশের পাসপোর্টের নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এ নীতি কার্যকর করা হচ্ছে। ইসরাইলি দৈনিক পত্রিকা হারিটজ জানিয়েছে, ইসরাইলি নাগরিকদের ওমরাহ পালনে বাধা দেয়া হয়েছে।

প্রায় ১০ লাখ মুসলমান, যা ফিলিস্তিনের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ, সৌদি আরবের নতুন নীতিতে ক্ষতির মুখে পড়বেন।এ ছাড়া পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিমতীর ও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা সৌদি আরবের নতুন এ বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন। হারিটজ জানিয়েছে, ইসরাইলের হজ ও ওমরাহ কমিটি বলেছে, তারা ডিসেম্বরে মক্কা শরিফে যেতে পারছেন না।

ইসরাইলের হজ ও ওমরাহ কমিটির প্রধান সালিম শালাতা বলেন, যা ঘটেছে তা নিয়ে আমাদের কাছে কোনো ব্যাখ্যা নেই। কাজেই সম্ভাব্য সব জায়গায় আমরা সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের অনুরোধ কেউ শুনছেন না।

মিডলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে দিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনিদের হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের অস্বিত্ব নেই করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।