নারী রোবট’সোফিয়া’কে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়ার পর তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই রোবট একজন সৌদি নারীর চেয়েও বেশি অধিকার ভোগ করছে।

গত সোমবার সৌদি আরবের রিয়াদ নগরীতে এক অনুষ্ঠানে এই রোবটটি প্রদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত শত শত প্রতিনিধি রোবটটি দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে সেখানে সাথে সাথেই এটিকে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় রোবট নারী ‘সোফিয়া’র ছবি ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়।

নারী রোবট ‘সোফিয়া’কে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়ার খবরটি দেখে প্রথমদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কয়টি প্রতিক্রিয়া পোস্ট করা হয় তার বেশিরভাগ ছিল ইতিবাচক। এই খবরটি টুইটারে ৩০০ হাজার বার শেয়ার হয়। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় এটি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ।

সৌদির রীতি অনুযায়ী, কোন মেয়েকে বাইরে যেতে হলে সাথে অবশ্যই একজন পুরুষ অভিভাবক থাকতে হবে এবং নারীকে বাইরে বেরুতে হলে মাথায় হিজাব পড়তে হবে। এ ছাড়াও দ্রুততার সঙ্গে ‘সোফিয়া’কে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

জানা গেছে, হংকং এর একটি কোম্পানি ‘হ্যান্সন রোবোটিক্স’ সোফিয়া নামের এই রোবটটি তৈরি করেছে। রোবটটি ইংরেজীতে কথা বলতে পারে।