অমিতাভ বচ্চন, তাকে বলা হয় বলিউড শাহেনশাহ। আজ তার ৭৫তম জন্মদিন। এখনও থামার বয়স হয়নি তার।
১৯৬৯ সালে মৃণাল সেনের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি ‘ভুবন সোম’ ছবিতে ভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করেছিলেন৷ এরপরেই ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবিতে প্রথম স্ক্রিনে আসার সুযোগ৷ ১৯৭১ সালে মুক্তি পায় বিখ্যাত ছবি ‘আনন্দ’৷ সেসময় বলিউডের সুপারস্টার রাজেশ খান্নার সঙ্গে প্রথম স্ক্রিন শেয়ার করা৷ এই ছবির পরে আর পিছনে তাকাতে হয়নি৷ ছয় ফুট লম্বা, রোগা এই মানুষটি! বলিউডের জীবন্ত শীর্ষ কিংবদন্তী অমিতাভ বচ্চন৷
১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘জঞ্জির’ ছবিতে এক কড়া পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যায় তাকে৷ এই ছবির পরেই তাকে বলিউডের ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যানে’র তকমা দেন অনেকে৷ সেবছরই জয়া ভাদুরীকে বিয়ে করেন অমিতাভ৷ বিয়ের একমাস পরেই এই নবদম্পতির ছবি ‘অভিমান’ আবার সুপারহিট৷ ‘নমক হারাম’ ছবিতে ফের রাজেশ খান্নার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন অমিতাভ৷
১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দিওয়ার’য়ে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান৷ এই ছবির সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’ আজও সকলের মুখে মুখে৷ একই সালে মুক্তি পায় ‘শোলে’৷ এই ছবিটি সেসময়ের ভারতীয় চলচিত্র্র জগতের সবচেয়ে বড় ছবি হয়ে দাঁড়ায়৷ এখনও পর্যন্ত দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন অমিতাভ৷ সংখ্যা এবং সফলতার বিচারে এই পরিসংখ্যান বিশ্বের যে কোনও তারকার কাছেই স্বপ্নের কাছাকাছি।
রোম্যান্টিক প্রেমিকের ইমেজেও হিট অমিতাভ বচ্চন। মনে পড়ে ‘সিলসিলা’-র কথা? রেখার সঙ্গে তাঁর কেমিস্ট্রি নিয়ে আজও সমান আলোচনা হয় সিনে মহলে। প্রেমিক ইমেজ এই ৭৫-এ এসেও যেন একই রকম। বছর দু’য়েক আগের রিলিজ হওয়া ‘পিকু’। সেখানেও অসাধারণ ভাবে নিজের আলাদা স্টাইল মেনটেন করে গিয়েছেন অমিতাভ। পর্দায় তিনি ছিলেন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুক্তভোগী এক বাঙালি। তাকে দেখে অনেক বাঙালিই নিজের সঙ্গে মেলাতে পেরেছেন।