শান্তিনিকেতনে কোনোরকম সিসিটিভির নজরদারি ছাড়াই খুলতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি বাংলাদেশ ভবনের মিউজিয়াম।

মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পাওয়া প্রত্নসামগ্রী এবং বিশ্বকবির ব্যবহৃত সামগ্রীর রেপ্লিকা থাকছে মিউজিয়ামে। এছাড়াও পদ্মাপারের বিভিন্ন উন্নয়নের ছবি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যও তুলে ধরা হচ্ছে শান্তিনিকেতনে বিশেষভাবে তৈরি এ মিউজিয়ামে।

মঙ্গলবার (আজ) থেকে এ মিউজিয়াম খুলে দেয়া হচ্ছে সাধারণের জন্য। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, অক্টোবর মাস পর্যন্ত মিউজিয়ামে প্রবেশমূল্য থাকছে না। নভেম্বর থেকে প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ২০ রুপি। এমনিতেই এখন কলকাতায় পা দিলেই বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকরা দলে দলে শান্তিনিকেতন ঘুরতে যান, দেখতে যান ‘আমার সোনার বাংলা’ গানের কবির কর্মভূমি। এরপর বাংলাদেশ ভবন হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যায় বাংলাদেশিরা আসবেন বলে মনে করছেন শান্তিনিকেতনের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ভিসি সবুজকলি সেন।

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ঠিক হয়েছিল সেপ্টেম্বরে খোলা হবে, তাই মিউজিয়াম খোলা হচ্ছে। এনবিসিসি থেকে বাংলাদেশ ভবনের হস্তান্তর খুব তাড়াতাড়ি হবে। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।’ বাংলাদেশ ভবনের বাইরে দুটি ম্যুরাল তৈরি করা হবে।

একটি হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, অন্যটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। রবীন্দ্রনাথের ম্যুরাল গড়বেন দুই বাংলার প্রখ্যাত শিল্পী যোগেন চৌধুরী এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল গড়বেন ঢাকার কোনো ভাস্কর। ঢাকার শিল্পীর নাম চূড়ান্ত করবে বাংলাদেশ সরকার।

গত ২৫ মে এ ভবনের উদ্বোধন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনা। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

সিসিটিভি না থাকায় কেউ পকেটে ভরে নিতে পারেন বলেও শঙ্কা থাকছে। স্বভাবতই এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ভবন চালু নিয়ে শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা বাংলাদেশি ছাত্রদের মধ্যেও একটা চাপা ক্ষোভ রয়েছে।

যেসব বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী মিউজিয়ামের দায়িত্বে থাকবেন তাদের কোনো মিউজিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো প্রশিক্ষণ নেই বলে জানা গেছে।

এমনকি বাংলাদেশ ভবনের সিলিং থেকে পানি পড়া, বিভিন্ন জায়গায় ফাটলসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারণে এ ভবনের হস্তান্তর নেয়নি। ফলে ভবনের কোনো অংশ সাধারণের জন্য খুলে দিলে তার দায় বিশ্বভারতীকে নিতে হবে। তবে গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস।